স্বদেশ ডেস্ক:
দেশের মোট ৯টি সেতু ও ২টি সড়কে নভেম্বর থেকে বাধ্যতামূলক ইলেকট্রনিক টোল বা ই-টোল চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই বছরের অক্টোবর মাসের পরে কোনো যানবাহন ই-টোল ছাড়া এসব সেতু ও মহাসড়কের টোল প্লাজা অতিক্রম করতে পারবে না। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সূত্রে জানা গেছে ই-টোল ব্যবহারে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সেতুগুলো হচ্ছে ১. কর্ণফুলী সেতু, চট্টগ্রাম, ২. মেঘনা সেতু, নারায়ণগঞ্জ, ৩. গোমতী সেতু, কুমিল্লা, ৪. ভৈরব সেতু, নরসিংদী, ৫. পায়রা সেতু, পটুয়াখালী, ৬. খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, খুলনা, ৭. চরসিন্দুর সেতু, নরসিংদী, ৮. শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু, নরসিংদী, ৯. লালন শাহ সেতু, পাবনা। এ ছাড়া নাটোরের আত্রাই টোল প্লাজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক পার হতেও কেবল ই-টোল ব্যবহার করতে হবে।
ই-টোল দেওয়ার পদ্ধতি : বর্তমানে প্রচলিত নেক্সাস পে, রকেট ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ই-টোল দেওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংক এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সওজ। ই-টোল দিতে গুগলের প্লে স্টোর থেকে নেক্সাস পে বা উপায় অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। নেক্সাস পের টোল কার্ডের ‘অ্যাড ভেহিকল’ অপশনে গাড়ির প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এর পর কার্ডে টাকা যোগ করতে হবে, আর তা ব্যবহার করে ই-টোল প্রদান করতে হবে। সেতু বা মহাসড়কের ফাস্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করে ই-টোল দেওয়া যাবে। উপায় অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোল পেমেন্ট অপশন বেছে নিয়ে গাড়ির সব তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর পর এই অ্যাপ দিয়ে ই-টোল দেওয়া যাবে। এ ছাড়া, *২৬৮# ডায়াল করে (গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক থেকে) রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা ব্লু বুকের ছবি এবং রকেট অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে মেইল করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে মোবাইলে *৩২২# ডায়াল করে টোল কার্ড নির্বাচন করতে হবে এবং রকেট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স থেকে প্রয়োজনীয় টাকা টোল কার্ডে স্থানান্তর করে ই-টোল দেওয়া যাবে। এর বাইরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যে কোনো শাখা বা ফাস্ট ট্র্যাকে গিয়েও ই-টোল দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।